★★★★★ গাজওয়াতুল হিন্দ ★★★★★
কাশ্মীরের মানুষের উপর এ জুলুম, অত্যাচার যে হওয়ারই ছিল। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভবিষ্যৎ বাণী যে জড়িয়ে আছে এর সাথে। এতো 'গাজওয়ায় হিন্দ' -এর বীজ বপণ। মুসলিমরাই যে জয়ী হবে অত্যাচারিরা যাই করুক। আল্লাহ ততোদিন শুধু ধৈর্য ধারনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
★রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোলাম ছাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার উম্মতের দুটি দল, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দান করবেন। একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে, আর একদল যারা ঈসা ইব্ন মারিয়াম (আঃ)-এর সঙ্গে থাকবে।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং-৩১৭৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
★রাসূল (সা) একদিন পুর্ব দিকে তাকিয়ে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছিলেন এমন সময় এক সাহাবী রাসূল (সা) কে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ আপনি এমন করছেন কেন। রাসূল (সা) বললেন আমি পুর্ব দিকে বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছি। সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ আপনি কিসের বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছেন।
রাসূল (সা) বললেন পুর্ব দিকে মুসলিম ও মুশরিকদের (যারা মুর্তিপুজা করেন) তাদের সাথে যুদ্ধ শুরু হবে। যুদ্ধটা হবে অসম। মুসলিম সেনাবাহিনী থাকবে সংখ্যায় সীমিত কিন্তু মুশরিক সেনাবিহিনী থাকবে সংখ্যায় অধিক।
ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা এত বেশি মারা যাবে যে রক্তে মুসলিমদের পায়ের টাকুনি পর্যন্ত ডুবে যাবে। ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা তিন ভাগে বিভক্ত থাকবে: এক ভাগ বিশাল মুশরিক বাহিনী দেখে ভয়ে পালিয়ে যাবে তারাই হলো জাহান্নামী। আর এক ভাগ সবাই যুদ্ধে শহীদ হবেন। শেষ ভাগ আল্লাহর ওপর ভরসা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত জয় লাভ করবেন।
নবীজি মুহাম্মদ ﷺ বলেন এই যুদ্ধ বদর সমতুল্য (সুবহানাল্লাহ) তিনি আরো বলেছেন ঐ সময় মুসলিমরা যে যেখানেই থাকুক না কেন তারা যেন সেই যুদ্ধে শরিক হন।
ইবনে নাসায়ী খন্ড ০১,পৃষ্টা ১৫২
সুনানে আবু দাউদ খন্ড ০৬,পৃষ্টা ৪২
#AAF