এই পৃথিবীতে এমন বহু মানুষের সাথে আমাদের বাকবিতন্ডা হয় 'সন্দেহের' জেরে। অনুমান করা নিয়ে। হয়ত না জেনে কারো প্রতি শয়তানের বিষমাখানো তীর খানা ছুঁড়ে মারি শুধু মাত্র অনুমান বা আন্দাজ করে। অথচ, এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। হাদীসে এসেছে আল্লাহ'র হাবীব (সাল্লাল্লাহু' আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন;
“তোমরা অনুমান থেকে বেঁচে থাক, কেননা অধিকাংশ অনুমান মিথ্যা হয়।” [১]
.
একই ঘোষণা পবিত্র কালামুল্লাহ মাজিদে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা দিয়েছেন;
“হে ইমানদার! তোমরা অধিক ধারণা থেকে দূরে থাক। কারণ কোনো কোনো ধারণা পাপ। আর তোমরা একজন অন্যজনের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। আর একজন অন্যজনের গীবত করো না।” [২]
.
একটা বিষয় স্পষ্ট, আমরা সবাই জানি, কেয়ামতে দিন (বিচার দিবস) আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা চাইলে আপনাকে আমাকে ক্ষমা করে, জান্নাত দিতেন পারেন। এটা সম্পূর্ণ দয়াময় মহান রব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা'র ইচ্ছা ( তিনি যেন দয়া করে আমাদের মাফ করে জান্নাতে দাখিল করেন। আমীন!) কিন্তু 'বান্দার হক্ব' বলে যে বিষয়টা আছে সেটা শুধু বান্দায় ক্ষমা বা মার্জনা করার ক্ষমতা রাখে। আর সেখানে (আল্লাহ না করুন) আপনি আমি আটঁকে যেতে পারি। হে ভাই আমার, একবার চিন্তা করুন, হয়ত কারো খুশির জন্য অপর জনের গীবত করলেন, হয়ত নিজে বড় করার জন্য অপর ভাইয়ের নামে যা নয় তা বলে বসলেন আর ভাবলেন সে কি এসব জানবে?
.
হে আমার কলিজার টুকরা ভাই, আপনি ভুল! একটু খেয়াল করুন তো পারিপার্শ্বিক ঘটনাগুলো আপনিই তো ফেসবুকে শেয়ার দিলেন অমুকের গোপন ভিডিও ফাঁস, তমুকের অপকর্মের ছবি ভাইরাল! একটিবার কেন ভাবছেন না অপরাধীরা তো আপনার (আমার) মতোই যারা ভেবেছিল 'এসব কি কেউ দেখবে?'
“...নিশ্চয়ই কান, চোখ, হৃদয় প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।” [৩]
আরও শোনতে চান!
“সেদিন তোমাদেরকে (বিচারের জন্য) হাজির করা হবে আর তোমাদের কোন কাজই- যা তোমরা গোপন কর- গোপন থাকবে না।” [৪]
.
তবে আপনার জন্য সুযোগ আছে, যে বা যার গীবত বদনাম যা ই আপনি করেছেন, সঙ্গে সঙ্গে তার নিকট মাফ চেয়ে নিতে পারেন। আখেরাতে অপমানিত, লাঞ্ছিত হওয়া থেকে দুনিয়াতে ঐ ব্যক্তির নিকট মাফ চেয়ে নেয়া হতে উত্তম উপায় আর আছে কি?
.
না জেনে না বুঝে হয়ত নফসের ধোঁকায় কারো বিরুদ্ধে দু-একটি কথা বলেছেন। ব্যাপরটা সাধারণ মনে হলেও একমাত্র এটিই হতে পারে আপনার জাহান্নামের কারণ।
.
আসুন, ভাই আমার! এইটুকু কাজ দুনিয়াতেই সেড়ে যায়। বিশ্বাস করুন ভাই, আপনি কারো নিকট ক্ষমা চাইলে এটার বিনিময় আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা'র নিকট নিশ্চয় উত্তম। আল্লাহ নিজে ক্ষমাকারী, এবং ক্ষমাপ্রার্থী উভয়কেই পছন্দ করেন। আমরা সকলেই এটা জানি, আল্লাহ'র রাসূল সাল্লাল্লাহু' আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে কোন গুনাহ ছিল না, তিনি ছিলেন একদম বেগোনাহ মাসুম। তবুও তিনি প্রত্যহ সত্তরবারেও বেশি আল্লাহ'র নিকট ক্ষমা চাইতেন।
.
হয়ত সেদিন হন্যে হয়ে সে লোকটিকে খুঁজবেন যার বিরুদ্ধে গীবত করেছিলেন অথবা মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিলেন, পেয়ে গেলেও সে ব্যক্তি যদি সেদিন শর্তজুড়ে দেয় মাফ করার বিনিময়ে তাকে সব নেক আমল দিয়ে দিতে হবে? কি করবেন?
___________________________
❒ রেফারেন্সঃ
.
[১] সহীহ বুখারী: ২২৮৭
[২] সূরা হুজরাত: ১২
[৩] সূরা ইসরা: ৩৬
[৪] সূরা আল- হাক্কাহ: ১৮
.
.
লিখেছেনঃ সিয়াম ভুইয়া(আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন, আ-মীন)
.
#tawbah
Aso islam prochar kori
Ibrahim1234
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Claudio Santos
https://cashrevenue.co/by/KElrztV2b
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?