ছবির বিশাল জাহাজটি করে একবার চাইনা থেকে কার্গো লোডিং করে চিটাগং এ আনলোড করেছিলাম।
চাইনায় লোডিং টাইম ছিল ২৭/২৮ ঘন্টা।আর সেটাই চিটাগং এ আনলোড করতে লেগেছে ২৬ দিন ?!!
এত লম্বা সময় লাগার কারন এত বড় শিপ চিটাগং পোর্টে ঢোকার মত ড্রাফট নেই কর্নফুলি চ্যানেলে।তাই বহিঃনঙ্গর (আউটার এংকরেজ) এ কার্গো আনলোড করা লাগে লাইটার ভ্যাসেলের মাধ্যমে।অনেক সময় সাপেক্ষ এবং খরচের ব্যাপার।এসব জাহাজের প্রতিদিনের ভাড়া কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা সাথে ১০/১২ টা লাইটার ভ্যাসেলের খরচ।
এই বাড়তি খরচ কিন্তু আপনার ঘরে যে পন্যটি আজ প্রবেশ করছে তার সাথে যুক্ত হবে।এখানেই দেখা গেল পোর্ট থেকে বেরোনোর আগেই ৩০ টাকার চিনি ৪০ টাকা হয়ে বসে আছে।এছাড়াও আপনি রাতের বেলা চিটাগং আউটার এংকরেজে জাহাজে গেলে আলফা,ব্রাভো আর চার্লি এংকরেজে অসংখ্য জাহাজ দেখবেন পোর্টে ঢোকার অপেক্ষায় বসে আছে কারন চিটাগং পোর্টের ক্যাপাসিটি কম।
এই সমষ্যা থেকে বাচতে প্রয়োজন একটা গভির সমুদ্র বন্দর।কারন চিটাগং বা মোংলা বলা চলে টাইপ অফ নদী বন্দর।মোংলাকে তো নদী বন্দরই বলা যায় এক প্রকার।
আপনাদের মনে আছে কি না জানি না ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড.ইউনুস সর্বপ্রথম এই ডিপ সি পোর্ট করার কথা বলেছিলেন।এটা পরবর্তীতে অনেকদূর এগিয়ে গেছিল।চীন অর্থায়ন করতে আগ্রহী ছিল।
কিন্তু আপনাগো আপার মুত্রখোর ভাতারের বাধায় সেই প্রকল্প থেকে আপায় সরে আসে।সোনাদিয়া গভির সমুদ্র বন্দর প্রকল্প থেকে সরে আসার কারন হিসাবে জীববৈচিত্রের কথা বলা হলেও আসল কারন ছিল আপনাগো আপার ঘরে পরপুরুষ (পড়ুন চীন) এর আগমনে আফার ভাতার মুদিজী গোস্মা করে বসে।
আফাই এখানেই থেমে থাকলে সমষ্যা ছিল না তার বদলে পায়রা সমুদ্র বন্দর নামে একটা স্ক্যাম করলেন।আজীবন শুনে আসলাম চিটাগং পোর্ট আর মংলা পোর্ট।হটাৎ করে আপার মুত্রখোর ভাতারের ঔরশে আপা পায়রা সি পোর্ট নামে আনকোরা একটা সি পোর্ট প্রসব করলেন।
মংলা পোর্টে গতবছর ৫০ টা জাহাজ ভিড়েছে। একটু খোজ নিয়ে দেখেন তো পায়রা পোর্টে কয়টা জাহাজ ভিড়েছে।একটাও না আর ভবিষ্যতে আর ভিড়বেও না।কারন উহা আদতে পায়রা সি পোর্ট না কাউয়া নদী বন্দর?!
অথচ এই পোর্টের নামে আপনাগো আফাই ৫০ হাজার কোটি আই রিপিট ৫০ হাজার কোটি লোপাট করে ফেলেছে।যেখানে গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য জাইকা প্রক্ক্যালিত ব্যয় ধরেছিল ১৭ হাজার কোটি সেখানে এই নদীবন্দরেই আফায় খরচ করচে ৫০ হাজার কোটি 😆😂🤣
অথচ এই টাকা দিয়ে চিটাগং আর মোংলা পোর্টের সক্ষমতা ৫ গুন বাড়ানো যেত।
এটাই আপনাগো আপার স্যাটাভাঙা উন্নয়ন।
এই ঋনের টাকা কোন ফেরেস্তা শোধ করবে না আপনার পকেট থেকেই এই ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
ডিপ সি পোর্ট পেলেন না উল্টো গোদের উপর বিষ ফোড়ার মত ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋন শোধ করেন আর আপনাগো আফার স্যাটাভাঙা উন্নয়ন চেটে চেটে খান।
সালার ব্যাকুব জাতি🥱
